স্নিগ্ধা
স্নিগ্ধা:একাদশীর স্বপ্নীল চাঁদ তোমার কপালের টিপ রাস্তার বা’পাশে গল্পের মতো হেঁটে যাও যখন ছাতিম ফুলের গুড়োগুড়ো ধুলো আচ্ছন্ন করে আমায় তোমার কথা যখন রেলগাড়ির মতো ছুটে যায় আকাশ বাতাস পাতালরেল হয়ে মহাকাশের শূন্যতায় আমি তোমাকে দেখি অশ্বিনের আবহাওয়ায় তোমার চোখে মায়াবন, আমি সন্ধ্যের অদৃশ্যতায়
তোমার স্পর্শে বেল পাহাড়ির পাথুরে হৃদয় ভালোবাসার মরশুমে মেঘ হয়ে ভেসে বেড়ায় আমার ময়দানে ঘাসের উপর এক পা দু’পা ফেলে হলুদ শাড়িতে ভিক্টরিয়ার রূপসী ঘুরে বেড়ায় স্বর্গের উদ্বৃত্ত আলো আমার চোখ ধাঁধায় তোমার সাক্ষাৎ কোন দীর্ঘ্য অপেক্ষার উৎসব মেট্রোর কাঁচের ওপারে মহীরুহের ছায়ায় উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ির পেছনে ডুবন্ত সূর্য্য পাখিরা উড়ে যায়, তোমার সুরের ঠিকানায়
ফেরিঘাটের শেষ নৌকোয় মানুষের ভিড় তোমার ঝলমলে পুরোনো সেতু ডাকে আমায় ভঙ্গুর বৃদ্ধ নগরের শান্তি নেই কোথাও মাঠে ঘাটে বন্দরে আমি ডেরা জমাই মালিকানাহীন পাতাদের ঘর হলুদ ট্যাক্সি বাঁশদ্রোণীর কোন গলির ধারে নির্জনতায় ব্যস্ত রাস্তা, কাগজফুল পাতাবাহারের আড়ালে তুমি চল্লিশের মহামারি পেরিয়ে কর্পোরেট বাংলায়
দুর্গম পথ পেরিয়ে কাঁটাগুল্মে ঘেরা মন পাহাড়ি মেঘলা দিনে কষ্ট পিন্ড গোলে অঝোর কান্নায় আমার ভেতর স্নিগ্ধা স্মৃতির অন্তরালে দেখেছি তোমায় তুলোর বাদা আমার ভেজা গালের নীরবতায় শৈশবের হারানো দিনগুলো আছে নিবিড় কল্পনায় তুমি কে সেই যাকে খুঁজেছি আমার রুপোলি জোছনায় শহরতলীর নোংরা বস্তির অসহ্য পরিবেশ ঠেলে মৃন্ময়ীর বিস্তীর্ণ ঠোঁটে মুক্তি, আমি শত চিঠি পাঠাই
সম্পর্কিত পাতা