আকাশগঙ্গা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে অবাক হবেন
আকাশগঙ্গা:
আকাশগঙ্গা, রাতের পরিষ্কার এবং খোলা আকাশের নিচে বসে আকাশের দিকে দেখলে কী মধুর দৃশ্যই না আমরা দেখতে পাই! কতই না ছোট ছোট আলোকবিন্দু জোনাকির মতো মিটমিট করছে আকাশে। ছোটবেলায় সেই আলোক বিন্দু গোনার চেষ্টা করেছি বহুবার। প্রতিরাতেই ভাবতাম আজকে হয়তো গুনে শেষ করবো।কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হতাম। সেই আলোক বিন্দুর যেনো কোনো শেষ নেই। তখন কি আর জানতাম যে খালি চোখে দেখা ওই ছোট্ট ছোট্ট আলোকবিন্দু বাস্তবে যে বিরাটাকার নক্ষত্র বা কোনো কোনোটি আবার এক একটি ছায়াপথ(গ্যালাক্সি)!!
নক্ষত্র বা তারার কথা আমরা সবাই জানি কারণ তাদের মধ্যে একটিকে আমরা নিজের চোখেই দেখেছি যা হলো আমাদের সূর্য কিন্তু ছায়াপথের বা গ্যালাক্সির নাম অনেকে শুনলেও অনেকেই জানি না ছায়াপথ আসলে কি?
সহজভাবে বলতে গেলে ছায়াপথ হলো কয়েক কোটি থেকে কয়েকশো কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি। আমরা জানি সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিই বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুগুলিকে আবদ্ধ করে রাখে। ঠিক একই ভাবে একটি বিশেষ বস্তুর অকল্পনীয় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কয়েক কোটি থেকে কয়েকশো কোটি নক্ষত্রকে আবদ্ধ করে রেখে যে ব্যবস্থা গঠন করে তাই হলো ‘ছায়াপথ’ বা ‘গ্যালাক্সি’ এবং সেই অকল্পনীয় মাধ্যাকর্ষণ সম্পন্ন বিশেষ বস্তুটি হলো ‘কৃষ্ণগহ্বর’ বা ‘ব্ল্যাকহোল’। দ্বিতীয়টি সম্পর্কে আলোচনা না হয় অন্য লেখায় করা যাবে আজকের লেখায় ছায়াপথটাকে আর একটু ভালো করে চিনেনি।
আমরা দেখলাম একটি ছায়াপথ তৈরি হয় কয়েক কোটি থেকে কয়েকশো কোটি নক্ষত্র নিয়ে। শুধু নক্ষত্রই নয় সঙ্গে সেই নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা গ্রহ ,তাদের উপগ্রহ , গ্রহাণু এবং গ্যাসের সমাহারে একটি ছায়াপথ তৈরি। 2021 এর তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞানীদের মতে ছায়াপথের সংখ্যা 2লক্ষ কোটি বা তারও বেশি এবং এই ছায়াপথগুলিতে 100000000000000000 কোটি বা তারও বেশি নক্ষত্র রয়েছে। ছায়াপথ কি সেটা তো না হয় আমরা জানলাম কিন্তু এর আকার কত বড়ো সেটা একটু হলেও আশা করি আন্দাজ করতে পারছেন!