কলকাতা (Kolkata): চলুন কলকাতা ঘোরার আছে কিছু তথ্য জেনে নিই
“কলকাতা, আমাদের ত্রিলোত্তমা কলকাতা। সিটি অফ জয়!!” কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। শুধু তাই নয় ১৯১১ সালের আগে কলকাতা পুরো ভারতবর্ষেরই রাজধানী ছিল। কলকাতা পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটি গঙ্গার শাখা নদী ভাগীরথীর বাম তীরে অবস্থিত। কলকাতা ভারতের অন্যান্য বড় শহরগুলি তুলনায় একটু নতুন। তার বয়স সবেমাত্র ৩০০ বছর। দিল্লি আগ্রা বা বারানসির তুলনায় নিতান্তই শিশু এই শহর। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রামকে নিয়ে জব চার্নক গড়ে তুলেছিলেন আজকের এই কলকাতা মহা নগর। যদিও সেদিনের কলকাতা নগর বহরে ও বাহ্যিক রূপে আজকের কলকাতার মতো ছিল না। কলকাতা এমন একটি শহর যেখানে আজও দশ টাকায় শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চলে যাওয়া যায়।মাত্র ৩০ টাকায় মেলে এক বেলার পেট ভরে খাবার। এত সস্তা শহর সারা পৃথিবী ঘুরলেও মনেহয় আর একটিও পাওয়া যাবে না। তাইতো কলকাতা আমাদের এত প্রিয়, আমাদের প্রাণের শহর।
কলকাতায় ঘোরার শ্রেষ্ঠ সময় কোনটি?
যেহেতু কলকাতা শহরটি ঐতিহ্যপূর্ণ নানান স্মৃতিতে ঠাসা, তাই পুরো কলকাতা শহরটিকে ঘুরে দেখবার জন্য ঘড়ির কাঁটার হিসেব রাখলে চলবে না। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো আবার গাড়ি চেপে আবার কখনো বা ঘোড়ার গাড়িতে কখনো আবার মানুষের টানা দুচাকার টানা গাড়িতে ( যাকে স্থানীয় ভাষাই টমটম বলে) করে উঠে কলকাতা পরিদর্শন করতে হবে। তাই এর শ্রেষ্ঠ সময় হল শীতকাল। থাকবে না রৌদ্রের চোখ রাঙানি, থাকবে না বৃষ্টির ঘনঘটা। হাল্কা মিঠেল রোদে ভালোবাসার মানুষটির সাথে পরিদর্শন করা যাবে এই ভালোবাসার শহর, কলকাতাকে। মোটামুটি অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে মার্চের আগেও আপনারা সকলেই কলকাতা শহরটিকে ভালোমতো পরিদর্শন করতে পারেন।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর: জুলাই থেকে মৌসুমী আবহাওয়ার কারণে শুরু হয়ে যায় বর্ষার দাপট। আর কলকাতার শহর বর্ষার সময় যেন তার সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে ফেলে। এই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতা ঘোরা খানিক বিরক্তির কারণ হতে পারে। পথ-ঘাট জলমগ্ন থাকে এবং কলকাতার জল নিকাশি ব্যবস্থা প্রায় উপচে পড়ে। ফলে ভালো জামা কাপড় পড়ে এক হাঁটু জল নিয়ে কলকাতা ঘোরার কোন মানেই হয় না। তাই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস ঘোরার জন্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়
অক্টোবর থেকে মার্চ: যদি মনে হয় পুরো কলকাতাকে ঘুরে এই সুন্দরী শহরকে ওতপ্রোতভাবে জানবেন, তবে বলা বাহুল্য যে, অক্টোবর থেকে মার্চ হল সবচেয়ে আদর্শ সময়। অক্টোবর থেকেই বইতে শুরু করে হালকা দুষ্টু মিষ্টি ঠান্ডা বাতাস। এই সময় দিনের বেলা রৌদ্রের তাপও থাকে ঘোরার জন্য একদম উপযুক্ত। এর ফলে এই অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে কলকাতা ঘুরতে কোনরকম কষ্টই হবে না। এছাড়া এই শীতের মরশুমে কলকাতা শহর খুব সুন্দর ভাবে সেজে ওঠে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মহিমায়। আর তার সঙ্গে উপরি পাওনা বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন খাবার। সব মিলিয়ে প্রায় জমজমাট হয়ে উঠবে এই অক্টোবর থেকে মার্চের সময়কালীন কলকাতা পরিদর্শন।
এপ্রিল থেকে জুন: আচ্ছা বলুন তো, যখন সূর্যদেব ঠিক মাথার উপরে উঠে তার প্রলয় শুরু করেন, তখন ঘরের ভেতর ছেড়ে রাস্তা-ঘাট কি বেশী আপন হতে পারে? একদমই না তো? এপ্রিল থেকে জুন এই কয়েকটি মাস ধরে চলে গ্রীষ্মকাল। রৌদ্রের দাবদাহ এবং গাড়ির ধুলোবালি কলকাতা সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে যেন বাধা সৃষ্টি করে। তাই এপ্রিল হতে জুন এই কয়েকটি মাস আপনাদের অবজ্ঞা করাই ভালো হবে।
কলকাতা কি ভাবে ঘুরবেন?
কলকাতা ঘোরা খুব সহজ ব্যাপার। শহরে ঘোরার জন্য, Metro, Local Train, Local Bus, Yellow Taxi, Ola, Uber
Metro : কলকাতা ঘোরার জন্য মেট্রো সব থেকে ভালো মাধ্যম। মেট্রো কলকাতায় পরিচ্ছন্ন, দ্রুত এবং সস্তা পরিবহণ মাধ্যম। টিকিটের মূল্য 5 টাকা থেকে শুরু করে 25 টাকা। আপনি প্রথম স্টেশন থেকে কোন স্টেশন যাবেন সেটার উপর নির্ভর করে টিকিট দাম। দম দম থেকে কালীঘাট পর্যন্ত ভাড়া 25 টাকা। তা ছাড়া এখন মেট্রো কার্ড চালু হয়েছে। 100 টাকা দিয়ে আপনি কার্ড করে আপনি ঘুরতে পারেন। এই ক্ষেতে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কার্ডে 25 টাকার কম থাকলে গেট ওপেন হবে না। এখনও কলকাতায় সমস্ত যায়গায় মেট্রো বিস্তারিত হয় নি। এটা নির্দিষ্ট একটা এলাকা নিয়ে চলে। নতুন মেট্রো লাইন চালু হয়েছে sealdah থেকে salt lake পর্যন্ত। কলকাতার সমস্ত যায়গায় মেট্রো লাইনের কাজ চলছে কবে নাগাদ চালু হবে তা আমরা নিশ্চিত না।
Local Train: কলকাতা ঘোরার জন্য যেমন মেট্রো আছে তার সাথে ট্রেন ও আছে। কলকাতার আসে পাশে অনেক যায়গায় ট্রেন লাইন বিস্তারিত আছে। ট্রেনে ভ্রমণ করা অনেকটাই সস্তা।তবে একটু খেয়াল রাখবেন সোমবার থেকে শনিবার অফিস সময় সকাল ৮-১১টা am এবং সন্ধ্যা ৬-৯টা pm পর্যন্ত ট্রেনে অনেক ভিড় হয়।
Local Bus: কলকাতার অন্যতম পরিবহন ব্যবস্থা হচ্ছে বাস। আপনি এই বাস চেপে কলকাতার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে পারবেন। এছাড়া সরকার পরিচালিত এসি বাস আছে। খুব কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন।
Yellow Taxi: কলকাতা এই “yellow taxi” জন্য পরিচিত। কলকাতা ও তার বাইরের এই “yellow taxi” কে না চেনে। আপনি এই taxi চড়ে কলকাতা ঘুরতে পারেন। সর্বদা গাড়ি ভাড়া করার সময় টাকা মিটিয়ে নিবেন। আর না হলে গাড়ির একটি মিটার আছে এবং আপনাকে মিটার রিডিং অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে।
Ola, Uber: Ola ও Uber আসার পর থেকে ঘোরা খুব সহজ হয়ে গেছে। আপনি আপনার ফোন থেকে বুক করে যেতে পারেন।
Metro : কলকাতা ঘোরার জন্য মেট্রো সব থেকে ভালো মাধ্যম। মেট্রো কলকাতায় পরিচ্ছন্ন, দ্রুত এবং সস্তা পরিবহণ মাধ্যম। টিকিটের মূল্য 5 টাকা থেকে শুরু করে 25 টাকা। আপনি প্রথম স্টেশন থেকে কোন স্টেশন যাবেন সেটার উপর নির্ভর করে টিকিট দাম। দম দম থেকে কালীঘাট পর্যন্ত ভাড়া 25 টাকা। তা ছাড়া এখন মেট্রো কার্ড চালু হয়েছে। 100 টাকা দিয়ে আপনি কার্ড করে আপনি ঘুরতে পারেন। এই ক্ষেতে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কার্ডে 25 টাকার কম থাকলে গেট ওপেন হবে না। এখনও কলকাতায় সমস্ত যায়গায় মেট্রো বিস্তারিত হয় নি। এটা নির্দিষ্ট একটা এলাকা নিয়ে চলে। নতুন মেট্রো লাইন চালু হয়েছে sealdah থেকে salt lake পর্যন্ত। কলকাতার সমস্ত যায়গায় মেট্রো লাইনের কাজ চলছে কবে নাগাদ চালু হবে তা আমরা নিশ্চিত না।
Local Train: কলকাতা ঘোরার জন্য যেমন মেট্রো আছে তার সাথে ট্রেন ও আছে। কলকাতার আসে পাশে অনেক যায়গায় ট্রেন লাইন বিস্তারিত আছে। ট্রেনে ভ্রমণ করা অনেকটাই সস্তা।তবে একটু খেয়াল রাখবেন সোমবার থেকে শনিবার অফিস সময় সকাল ৮-১১টা am এবং সন্ধ্যা ৬-৯টা pm পর্যন্ত ট্রেনে অনেক ভিড় হয়।
Local Bus: কলকাতার অন্যতম পরিবহন ব্যবস্থা হচ্ছে বাস। আপনি এই বাস চেপে কলকাতার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে পারবেন। এছাড়া সরকার পরিচালিত এসি বাস আছে। খুব কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন।
Yellow Taxi: কলকাতা এই “yellow taxi” জন্য পরিচিত। কলকাতা ও তার বাইরের এই “yellow taxi” কে না চেনে। আপনি এই taxi চড়ে কলকাতা ঘুরতে পারেন। সর্বদা গাড়ি ভাড়া করার সময় টাকা মিটিয়ে নিবেন। আর না হলে গাড়ির একটি মিটার আছে এবং আপনাকে মিটার রিডিং অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে।
Ola, Uber: Ola ও Uber আসার পর থেকে ঘোরা খুব সহজ হয়ে গেছে। আপনি আপনার ফোন থেকে বুক করে যেতে পারেন।
-
কলকাতায় বিখ্যাত যায়গা:
কলকাতা এমন একটি শহর যা আপনাকে বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের ক্যালিডোস্কোপিক প্রতিচ্ছবি দিয়ে বিমোহিত করে। শহরটি এখনও সুরেলা রবীন্দ্রসংগীতে অনুরণিত হয় এবং বাতাসে বাঙালি খাবারের ঝাঁকুনি রয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে গর্বের জায়গা ধরে রাখা জাদুঘরের মাধ্যমে কলকাতা শুধু নিজস্ব ঐতিহ্যই নয়, দেশের ঐতিহ্যকেও সংরক্ষণ করেছে। একটি বিজ্ঞান জাদুঘর, রেল যাদুঘর, ট্রাম যাদুঘর, এবং সুভাষ চন্দ্র বসু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের জন্য নিবেদিত যাদুঘরগুলি শহরটিকে আকর্ষণীয় রত্নগুলির মধ্যে কয়েকটি মাত্র। কলকাতার হোটেলে থাকার সময় এই জাদুঘরগুলির যে কোনও একটি পরিদর্শন একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা কারণ এটি কেবল আমাদের ইতিহাস নয়, বিশ্বের সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দেয়।